ইশতিয়াক আহম্মেদ,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে বিদেশি অ্যাপস(MTFE) ফাঁদে অনলাইনে বিনিয়োগ করে সর্বশান্ত হয়েছেন কুষ্টিয়ার হাজার হাজার পরিবারের মানুষ। আর যারা এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে অর্থের মালিক বনেছেন কোম্পানি উধাও হওয়ার সাথে সাথে তারাও এলাকা থেকে লাপাত্তা হয়েছেন। বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা।
উপজেলার এই MTFE ফাদে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সব ইউনিয়ন থাকলেও, ফিলিপনগর, মরিচা ও আদাবাড়ি ইউনিয়নের শতকরা ৮০ ভাগ নারী পুরুষ লাখপতি বা কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে বিদেশি অ্যাপসের ফাঁদে অনলাইনে বিনিয়োগ করেন বিপুল অংকের টাকা। তারা ফেসবুকে এই বিদেশি অ্যাপসের লোভনীয় মুনাফার বিজ্ঞাপন দেখে এবং কোম্পানীর স্থানীয় প্রতিনিধিদের দেওয়া লাখপতির অফারে অ্যাপস’র মাধ্যমে একাউন্ট খুলেন। কেউ কেউ কিছু টাকা পেলেও বাঁকীরা সর্বশান্ত হয়েছেন। শুধু দৌলতপুরই নয় এমনকান্ড ঘটেছে কুষ্টিয়ার সর্বত্র। ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত পেতে কোম্পানীর স্থানীয় কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের কাছে গিয়ে অফিস তালাবদ্ধ ও প্রতিনিধিদের না পেয়ে অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ ফিলিপনগর এলাকার ফিরোজ ইকবাল দুখু নামে এক প্রতারক ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে প্রতারণার মাধ্যমে ভুল বুঝিয়ে এ ফাঁদে পা ফেলতে বাধ্য করেন। এই দুই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অন্তত ২০ থেকে ২২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা লাপাত্তা হয়েছে বলে ভূক্তভোগী নারী পুরুষের অভিযোগ।
সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে বিপুল অংকের টাকা নিয়ে যারা লাপাত্তা হয়েছেন, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ফিলিপনগর ইউনিয়নের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন অধিক লাভ দেখলেই লাফালাফি করে সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়তে হবে, অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে এমনটি করা ঠিক না বলে ভূক্তভোগী জনসাধারণকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সহজে যা পাওয়া যায় সবসময় তা গ্রহণ করা ঠিক নয়, ভেবে চিন্তে যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিলে এমনিভাবে প্রতারণার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। এমনটি মনে করে সচেতন মহল।
Leave a Reply